• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

ডাকাতির মামলায় ৯ ডাকাত গ্রেফতার

  • ''
  • প্রকাশিত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কেরানীগঞ্জ(ঢাকা) প্রতিনিধিঃ

দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন মজিদ বেয়ারা এলাকায় বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া তাঁর ডুপ্লেক্স বাড়িতে গ্রীল কেটে ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করে।মামলার একমাস পর ৯ ডাকাত গ্রেফতার করে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ও নগদঅর্থ উদ্ধার করেন।

আজ ১৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে এ সংবাদ নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান। এসময় তিনি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন,গত ২১ জানুয়ারি দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন মজিদ বেয়ারা এলাকায় বোরহান উদ্দিন বাড়িতে রাত সাড়ে ৩টায় সময় নিচতলার জানালার গ্রিল কেটে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন ডাকাত বোরহান উদ্দিন ও তার স্ত্রী আমিনা আক্তারের ২য় তলার রুমের দরজার লক ও সিটকানি ভেঙ্গে রুমে ডুকে বোরহান উদ্দিন এবং তার স্ত্রী-কে মারধর করে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং গামছা ও ওড়না দিয়ে তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। তারপর ডাকাতরা রুমের ভিতরে ওয়ারড্রপে থাকা নগদ ৮৫,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়। অতঃপর বোরহান উদ্দিন এর ০২ ছেলের গলায় ধারালো ছেনদা ধরে কাঠের ওয়ারড্রপে থাকা একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একজোড়া স্বর্ণের হাতের রুলি ও ০৪ টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া (৪৩) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ও দুর্র্ধষ এই ডুপ্লেক্স বাড়ি ডাকাতি মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ সুপারের তাৎক্ষণিক নির্দেশ প্রদান করেন। এমামলার কাজ শুরু করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্ (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম সার্বিক দিকনির্দেশনায় দূর্র্ধষ ও ক্লু-লেস এই ডুপ্লেক্স বাড়ি ডাকাতির মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় চৌকস তদন্ত টিমের নেতৃত্বদেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুব আলমথানা এর সহযোগিতায় পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) শরজিৎ কুমার ঘোষ ও এসআই (নিঃ) হিরন কুমার বিশ্বাস, এসআই (নিঃ) সাইদুজ্জামান, এসআই (নিঃ) নির্মল কুমার আগারওয়ালা-দের নেতৃত্বে তদন্তটিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্ন আলমত সংগ্রহ করে এবং ঘটনাস্থলের আশেপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ পূর্বক পর্যালোচনা করে। একপর্যায়ে তদন্তটিম ঘটনাস্থল ও এর আশেপাশের এলাকায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় জড়িত সন্দিগ্ধ আসামীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয় একটি বিশেষ আভিযানিক দল কেরাণীগঞ্জ এর হাসনাবাদ এলাকা হতে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত আসামী ১. মনির ওরফে কাটার মনির (২৮), ২। মাসুদ (২৭), ৩। সামসুদ্দিন ওরফে নানা (৫৬), ৪। আলিফ (২৫), ৫। জহিরুল (২৬), ৬। রোকন (২২) ও ৭। সাব্বির (২০)-দের গ্রেফতার করা হয়। অত্র পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে নারায়নগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ হতে ৮। জাহিদ (২৭) ও ৯। শরীফ (২৫)- দ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।

দূর্র্ধর্ষ এই ডুপ্লেক্স বাড়ি ডাকাত চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করে এবং তারা আরও জানায় ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলাগুলোতে নিরিবিলি এলাকায় দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি গুলো টার্গেট করে তারা বাড়ির গ্রিল কেটে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লুন্ঠিত নগদ ১৯,৬০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়। উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads